ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকস্থ লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কারখানা কর্তৃক ক্রাশিং চুনাপাথর খোলাবাজারে বিক্রি আবারো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আফিল ডিভিশনের চেম্বার কোর্ট এ আদেশ প্রদান করেন। ১৮ জানুয়ারী চেম্বার কোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন। এর আগে গত বছরের ২৩ নভেম্বর চেম্বার কোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান একই আদেশ দিলে লাফার্জ কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আদেশ স্থগিত করে ক্রাশিং চুনাপাথর খোলাবাজারে বিক্রি চালু রাখে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর শিল্প মন্ত্রনালয়ের বিসিআইসি অধিশাখার উপসচিব মনিরুজ্জামান সাক্ষরিত লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কারখানার এক্সিকিউটিভ অফিসার/প্লান্ট ম্যানেজার বরাবরে দেয়া চিঠিতে ভারত থেকে আমদানীকৃত চুনা পাথর থেকে সিমেন্ট ও ক্লিংকার উৎপাদন ব্যতিত কোম্পানীর অনুমোদিত লে-আউট প্লান বা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া নতুন পণ্য চুনাপাথর এগ্রিগেট বা খোয়া উৎপাদন বা বাজারজাতকরন অবৈধ বলে জানানো হয়। এসব ক্রাশিং চুনা পাথর সৃজন করে খোলাবাজারে বিক্রি করা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য লাফার্জ হোলসিম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর হাইকোর্টের এক আদেশে অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসা আবারো চালু করে লাফার্জ হোলসিম। হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ১৮ নভেম্বর শিল্প মন্ত্রনালয়ের নির্দেশের উপর এক মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেন। এতে লাফার্জ হোলসিম আবারো ক্রাশিং চুনাপাথর খোলাবাজারে বিক্রি পথ সুগম হয়। এ আদেশের ৫ দিন পর সুপ্রিম কোর্টের আফিল ডিভিশনের চেম্বার কোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান স্বাক্ষরিত অপর এক আদেশে ক্রাশিং চুনাপাথর খোলাবাজারে বিক্রি আবারো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ছাতক লাইমষ্টোন ইম্পোর্টাস এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রপের প্রেসিডেন্ট, ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আহমদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, লাফার্জ কর্তপক্ষ ছাতকের ঐতিহ্যবাহী চুনাপাথর ব্যবসা ও শ্রমিকদের অধিকার হরণ করতে বার বার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় এখানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে ক্রাশিং চুনা পাথর খোলাবাজারে বিক্রি বন্ধ করার কথা দিয়েও প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে বিদেশেী এ কোম্পানী। কোন রকমের বৈধ কাগজপত্র বা অনুমতি ছাড়াই অন্যায়ভাবে লাফার্জ হোলসিম অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসা শুরু করে। লাফার্জ হোলসিকে এসব অন্যায় কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হবে।