ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর সরকারী চালের কার্ড ও টিসিবি’র কার্ড দেয়ার কথা বলে ভোক্তভুগিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য সাজ্জাদ মিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন ওয়ার্ডের গোদাবাড়ি ও রাজারগাঁও গ্রামের ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ। ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে খাদ্য সহায়তার কার্ড দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্য সাজ্জাদ মিয়া ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন। একই সাথে তাদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর পুরাতন কার্ড, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও এক কপি করে ছবিও নিয়েছেন তিনি। তারা সরকারী চাল ও স্বল্প মুল্যে টিসিবি’র পণ্য পাওয়ার স্বার্থে ইউপি সদস্যকে টাকা, পুরাতন কার্ড সহ এসব কাগজপত্র দিয়েছেন। পরিশেষে কার্ডের পরিবর্তে ভুক্তভোগিরা পেয়েছেন লাঞ্চনা ও তিরস্কার। এ নিয়ে এলাকার ভুক্তযোগিদের মধ্যে ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় চৌমুনী বাজারে বঞ্চিত নারী-পুরুষরা জড়ো হয়ে ইউপি সদস্য সাজ্জাদ মিয়ার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেন। এ বিষয় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্মরনাপন্ন হবেন বলে জানিয়েছেন। গোদাবাড়ি গ্রামের রংমালা বেগম জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ড ও টিসিবি’র কার্ড দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে নগদ ৫০০ টাকা ও পুরাতন কার্ড নিয়েছেন ইউপি সদস্য। কিন্তু তাকে কোন কার্ডও দেয়া হয়নি এবং পুরাতন কার্ডটিও ফেরত দেয়া হয়নি। একইভাবে গোদাবাড়ি গ্রামের আমিনা বগেম, খুরশেদা খাতুন, ছালমা বেগম, হুসনা বেগম, রাজারগাঁও গ্রামের করম আলী, ফয়জুর রহমান, কালা শাহ, হাবিবুর রহমান, রাবিয়া বেগম, ছালাম উদ্দিন, আফতর আলী সহ ভোক্তভুগি লোকজন জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর সরকারী চালের কার্ড দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে পুরাতন কার্ড নিয়ে যান মেম্বার সাজ্জাদ মিয়া। পাশাপাশি নতুন কার্ড পেতে মেম্বারের কথা মতো প্রতি জন ২০০, ৩০০ টাকাও দিতে হয়েছে তাকে। কিন্তু খাদ্য সহায়তার কোন কার্ড তাদের ভাগ্যে জুটেনি। একাধিকবার মেম্বারের কাছে ধর্না দিয়েও কোন লাভ হয়নি। উপর্যপরি তাদেরকে হয়রানূীর পাশাপশি ভৎসনাও করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, বঞ্চিরা অত্যন্ত দরিদ্র ও দিনমজুর শ্রেনীর মানুষ। এসব হতদরিদ্র মানুষের সাথে প্রতারনা করা নিন্দনীয় কাজ। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য সাজ্জাদ মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে জানান, এটি তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। এলাকার একটি পক্ষ, যাদের বিরুদ্ধে তার মামলা-মোকদ্দামা রয়েছে, মুলত তারাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বানোয়াট অভিযোগ তুলেছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে মুটোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।