ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকে কনকচাঁপা খেলাঘর আসরের ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের বাগবাড়ি এলাকার খেলাঘর আসরের কার্যালয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী। এর আগে খেলাঘর আসরের সামনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। পরে খেলাঘর আসরের ছোট-ছোট বন্ধুদের সাথে তিনি সময় কাটান। এসময় তিনি খেলাঘর আসরের উন্নয়নে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথা বলেন। বিভিন্ন দাবীর প্রেক্ষিতে মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, কার্যালয়ের ছাদ ও শিক্ষকদের মাসিক বেতন দেয়ার ঘোষান করেন। কনকচাঁপা খেলাঘর আসরের সভাপতি কেতকী রঞ্জন আচার্য্যরে সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বিজয় রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছাতক পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল জসিম উদ্দিন সুমেন, খেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক করুণাময় আচার্য, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি তপন তরফদার,সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল আমিন রুবেল, শিক্ষক দোলন তরফদার, প্রনব দাস মিটু, রক্সি আচার্য্য, কলি অধিকারী, মুনমুন তরফদার, বর্না তালুকদার, পার্বতী রানী সাহা, সংগীত শিক্ষক অজিত কুমার দাস, তবলা শিক্ষক তমাল পোদ্দার, নৃত্য শিক্ষক ঈশিতা দাস, সংগঠক আমির আলী, সেলিম মাহবুব, মৃদুল দাস, মিন্টু মিয়া, খেলাঘর আসরের সদস্য শাওন আচার্য, আনছার মিয়া, সহ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ২য় পর্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান। কনকচাঁপা খেলাঘর আসরের সভাপতি কেতকী রঞ্জন আচার্য্যরে সভাপতিত্বে ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ইউআরসি ইন্সট্রাকটর মোস্তফা আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ছাতক উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাবেক সাধারন সম্পাদক, ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ হারুন অর রশীদ, ছাতক সরকারী ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমদ প্রমূখ। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক বিজয় রায়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, সুস্থ সংস্কৃতিক চর্চা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বোদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার প্রত্যয় নিতে হবে প্রত্যেক শিশুকে। শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মনে রেখো তোমারাই হবে আগামী বাংলাদেশের কর্ণধার। খেলাঘরের সুস্থ সাংস্কৃতি চর্চার জন্য তিনি তার সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলে উপস্থিত শিশু ও অভিবভাবকদের আশ্বস্থ করেন। পরে খেলাঘরের বিজয়ী বন্ধুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি।