ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকে ব্যবসায়ীদের প্রায় তিনকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গোলাম মোস্তফার পুত্র ফারুক মিয়া প্রতারণা করে এই টাকা হাতিয়ে নেয়। সে সিলেটের লামাকাজি চাঁনপুর এলাকার হলেও ব্যবসায়ীক কারনে ছাতকে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফারুক মিয়া ছাতক ডিগ্রি কলেজে পড়ালেখা শেষ করে ২০০৩ সালে শহরে গ্রামীণ ফোনের ডিস্ট্রিবিউটরের দায়িত্ব নেয়। কিছুদিন পর পাথর, চুনাপাথরের ব্যবসাও শুরু করে। আর এ সুবাদে এখানের পাথর ব্যবসায়ীদের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ছিল মেসার্স ফারুক মিয়া নামে সিঙ্গেল, বোল্ডার, বালু, চুনা, চুনাপাথর আমদানি ও রপ্তানিকারকের তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ব্যবসায়ের প্রথমদিকে সে তার চতুরতা দিয়ে অন্যান্য চুনাপাথর ব্যবসায়ীদের মন জয় করে নেয়। আর ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখানের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে চুনাপাথর রপ্তানির কথা বলে তাদের কাছ থেকে সে অগ্রিম প্রায় তিনকোটি টাকা নিয়ে আর চুনাপাথর রপ্তানি করেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চুনাপাথর দেওয়ার কথা বলে ফারুক তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয়। কিন্তু সময়মতো পাথর দিতে না পারায় ফারুকের প্রতি তাদের সন্দেহ দেখা দেয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা তাদের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করতে সিলেটের বাসায় গেলে ফারুক মিয়ার ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনের নাম্বারও বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানতে পারেন ফারুক মিয়া তাদের সাথে ব্যবসায়ীক শর্ত ভঙ্গ করে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে এখন সে বিদেশে পালিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিয়ে শীঘ্রই প্রতারক ফারুকের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি মামলা করবেন বলে তারা জানিয়েছেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতারক ফারুককে ধরিয়ে দিতে পারলে সন্ধানদাতাকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করা হবে বলেও ঘোষণা দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।