শেখ রাসেল-নিউজ ডেস্ক//আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে টুঙ্গিপাড়ায় কুশলী ইউনিয়নের সর্বত্রই বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে ৯টি ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, উঠান বৈঠক ও সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভোটারদের কাছে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা উপজেলার শীর্ষনেতা সহ কেন্দ্রে ও লবিং শুরু করেছেন তারা। তৃণমূলেও চলছে বিভিন্ন বিশ্লেষণ।
দেশের অন্য ইউনিয়ন গুলির তুলনায় কিছুটা ব্যতিক্রম। কারণ এ টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান ও এখানেই রয়েছে তার সমাধি সৌধ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা হওয়ায়, এই পাঁচটি ইউনিয়নের আলাদা গুরুত্ব বহন করে। এখানকার মানুষ মনে প্রানে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে।
কুশলী ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খালিদ হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন সরদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ কামাল গাজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা, জেলা কৃষকলীগের কার্যকরী সদস্য শেখ মোঃ কদর আলী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি দুলাল হোসেন গাজী, বাংলাদেশ আওয়ামী প্রচার ও প্রকাশনালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেহেদী হাসান আলমগীর, উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ হাসান সিকদার, গোপালগঞ্জ আইনজীবি সহকারি সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন খান, আবু সুফিয়ান বিশ্বাস (সোহেল)।
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খালিদ হোসেন জানান, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে পূণরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে আমার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবো।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন সরদার বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে, “গ্রাম হবে শহর” প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণের লক্ষে কাজ করে যাবো।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল গাজী জানান, আমি আশা করি দলীয় মনোনয়ন পাবো। আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিবো।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাবো।
জেলা কৃষকলীগের কার্যকরী সদস্য শেখ মোঃ কদর আলী জানান, আমার পিতা মরহুম শেখ মোহাম্মদ আলী কুশলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও কুশলী ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে, পিতার সে সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ আওয়ামী প্রচার ও প্রকাশনালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেহেদী হাসান আলমগীর বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে, মাদক, সন্ত্রাস, দূর্নীতি, চাঁদাবাজ, স্বজনপ্রীতি মুক্ত আধুনিক ডিজিটাল ইউনিয়ন গড়ার লক্ষে কাজ করে যাবো।